ছাতক প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জের ছাতকে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে আইন পেশার পাশাপাশি জাল সনদে শিক্ষকতাও করছেন একব্যক্তি। তিনি একই সাথে সুনামগঞ্জ জজ কোর্টে আইন পেশা ও ছৈলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরী করছেন। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সিলেট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবরে ছৈলা-গ্রামের আব্দুল মতিনের গত ৯অক্টোবর দেয়া আবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ খুরমা ইউপির সেনপুর গ্রামের ইছাক আলীর পুত্র বসির উদ্দিন একই সাথে আইন পেশাও ছৈলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্মারক নং ৪০৬, ১৩.০৩.২০০০ইং মূলে ৮নং ক্রমিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগপত্রে সেনপুর গ্রামের মৃত হারিছ আলীর পুত্র বসির উদ্দিন চাকুরি গ্রহন করেন। নিয়োগপত্রে শর্তাদির মধ্যে (ঘ) তে বলা হয়, শিক্ষক কর্তৃক সরবাহকৃত যে কোন তথ্য/সনদপত্র মিথ্যা/ভূঁয়া প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিয়োগাদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে এবং প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সচিব বরাবরে সেনপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের গত ৯অক্টোবর দেয়া আবেদনে ‘দি বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রেকট্রিশনার এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডারস্ এন্ড রুলস্ ১৯৭২’ এর ধারা উল্লেখ করে বলা হয়, কোন ব্যক্তি আইন পেশায় তালিকাভূক্তির সময় শপথনামা সহযোগে শপথ করেন, যে তিনি কোন প্রতিষ্টানে চাকুরি কিংবা কোন লাভজনক প্রতিষ্টানের সাথে জড়িত নহেন। কিন্তু আইনজীবি মো.বসির উদ্দিন আইন পেশার পাশাপাশি কিভাবে প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরী করে আসছেন। সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির ওকালতনামার ২৯৫নং ক্রমিকে সেনপুর গ্রামের মৃত হারিছ আলীর পুত্র এডভোকেট বসির উদ্দিনও আইনজীবি পরিচিতি গাইড বইয়ে (ছবিসহ ১২১পৃষ্টায়) মৃত হারিছ আলী ও চন্দ্রমালার পুত্র বসির উদ্দিনের নামোল্লেখ রয়েছে। তার অন্তর্ভূক্তি ১৫ডিসেম্বর ২০১০ইং এবং যোগদানের তারিখ হচ্ছে ৩জানুয়ারি ২০১১ইং। জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগও আইন পেশায় যোগদানের সময় পিতার নাম মৃত হারিছ আলী উল্লেখ করলেও পীরপুর ভূমি অফিসের নামজারী মোকদ্দমা নং ২৩৩৬/২০০৮-০৯ইং মূলে তার পিতার নাম ইছাক আলী উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে তার বিরুদ্ধে ছাতক থানার পুলিশ এসল্ট মামলা (নং ০২, তাং ০৩.০২.২০১৫ইং) ও ঘর পোড়ানো মামলায় (নং ৩১, তাং ২৯.০৮.২০১৬ইং) পিতার নাম ইছাক আলী উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ইছাক আলীও হারিছ আলী নামের দু’ব্যক্তিকে পিতা উল্লেখ করায় সার্টিফিকেটকেও জাল বলে ধারনা করছেন অনেকে।